মাতৃগর্ভে থাকাকালীন হযরত ফাতেমা (রহঃ) এর স্বপ্ন Part 5 - Boro Pir Abdul Kadir Jilani Ar Jiboni

Boro Pir Abdul Kadir Jilani Ar Jiboni

প্রথম মাসের স্বপ্ন

গর্ভধারণের দিন হতেই হযরত ফাতেমা (রহঃ) আশ্চর্যজনক স্বপ্ন দেখতে লাগলেন। মহন
আল্লাহ্ তা'আলা কাছ থেকে নানা ধরনের শুভ ইঙ্গিত লাভ করতে শুরু করলেন।
বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) মাতৃগর্ভেধারণ করার পর প্রথম মাসে উদ্মুল
খায়ের ফাতেমা (রহঃ) একদিন স্বপ্নে দেখলেন, হযরত আদম (আঃ)-এর স্ত্রী হযরত হাওয়া (আঃ)
তার সামনে এসে বলছেন, হে ফাতেমা! তুমি এ বিশ্বচরাচরে মহাভাগ্যবর্তী নারী। তােমার গর্ভে
যে সন্তান আছে, সে হবে আওলিয়াকুলের শ্রেষ্ঠ গাউসুল আযম বড়পীর হযরত আবদুল কাদের
(রহঃ)। অতএব তুমি খুব সাধারণ সময় কাটাতে চেষ্টা করবে।

দ্বিতীয় মাসের স্বপ্ন

তনি আবার স্বপ্নে দেখলেন যে, হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর স্ত্রী হযরত সারা (আঃ) তাঁর
শিয়রে দাঁড়ায়ে সুমধুর কণ্ঠে বললেন, হে ফাতেমা! আল্লাহ্ তাআলার মারেফাতের তত্ত্বের শ্রেষ্ঠ
পথপ্রদর্শক নূরে আযম তােমার গর্ভে স্থান নিয়েছে। তুমি নিবিষ্ট মনে আল্লাহ্ তা'আলার ধ্যানে মগ্ন
থেকো।

তৃতীয় মাসের দ্বপ্ন

এরপর আস্তে আস্তে তৃতীয় মাস চলে আসল। একদিন গভীর রাত্রে নিদ্রাবস্থায় স্বপ্নে
দেখলেন, ফেরাউনের স্ত্রী পুণ্যবর্তী নারী হযরত আছিয়া (রহঃ) তাকে বলছেন, হে পুণ্যবতী
ফাতেমা! আমি তােমাকে এক শুভ সংবাদ জানাচ্চি। তুমি খুবই ভাগ্যবর্তী। তামার পবিত্র গর্ভে
যিনি আগমন করছেন, তিনি আওলিয়া কুলের শ্রেষ্ঠ সন্তান। দুনিয়াতে তাঁর উপাধী হবে রওশন
জমীর। অতএব তুমি অতিশয় সতর্কিতার সাথে শুভক্ষণের অপেক্ষা কর।

চতুর্থ মাসের স্বপ্ন
এই মাস তিনি স্বপ্নে দেখলেন, বিশ্বের চির বিস্ময় ও মহারত্নের অধিকারী হযরত ঈসা (আঃ)-
এর মাতা হযরত মরিয়ম (রাঃ) তাঁর সামনে হাজির হয়ে খুব কোমল স্বরে তাকে উদ্দেশ্য করে
বললেন, ওহে সৌভাগ্যশালী ফাতেমা (রহঃ)! তােমার পবিত্র গর্ভে যিনি স্থান লাভ করছেন, তিনি
হলেন বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)। কাজেই তুমি সতর্কতার সাথে চলাফেরা
করিও।

পঞ্জম মাসের স্বপ্ন
এই মাসের রাত্রে তিনি স্বপ্নে দেখলেন-বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রথম ও প্রধান
স্ত্রী হযরত খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) তকে বলছেন, ওহে ভাগ্যবর্তী ফাতেমা! তােমার গর্ভে
ইসলামের এক উজ্জ্বল রত্ন মহান আল্লাহ্ তা'আলার প্রিয় বান্দা মহিউদ্দীন এর আগমণ ঘটেছে।
অতএব তােমাকে সতকতার সাথে চলাফেরা করতে হবে।

ষষ্ঠ মাসের স্বপ্ন
এই মাসের রাতে উম্মুল খায়ের হযরত ফাতেমা (রহঃ) স্বপ্ন দেখলেন যে, বিশ্বনবী হযরত
মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রিয়তমা স্ত্রী হযরত আয়েশা (রাঃ) তাকে বলছেন, ওগাে ভাগ্যবতী ফাতেমা!
অদূর ভবিষ্যতে এমন একজন মহাপুরুষ. তােমার কোল উজ্জ্বল করবেন, যার আধ্যাত্মিক শক্তির
কাছে দুনিয়ার প্রত্যেকটি ঈমানদার বান্দা বিমুগ্ধ ও চমৎকৃত হবে। কাজেই তুমি সতর্কতার সাথে
সময় কাটাবে।

সপ্তম মাসের স্বপ্ন
সপ্তম মাসে তিনি স্বপ্নে দেখলেন হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ)
উম্মল খায়ের ফাতেমা (রহঃ)-কে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ওগাে ফাতেমা (রহঃ)! সুসংবাদ শ্রবণ,
কর। সাইয়্যেদ বংশের গৌরবময় পবিত্র ফুল অতি তাড়াতাড়ি তােমার কাছে আগমণ করবেন।
যার প্রভু প্রেমের স্রোতধারায় পৃথিবীর সকল আওলিয়া আবগাহন করবে।

অষ্টম মাসের স্বপ্ন
এই মাসের রাত্রে তিনি স্বপনে দেখলেন, হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর নয়নের মনি হযরত ইমাম
হাসান (রাঃ)-এর সহধামনা তাকে বলছেন-ওগাে স্নেহের দুলালী ফাতেমা! যিনি অচিরেই তােমার
গর্ভ হতে দুনিয়াতে আসবেন তিনি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মৃত প্রায় ইসলাম জাত্রত
করবেন এবং রূহানী জগতকে প্রেমের রসে সঞ্জীবিত করবেন। তুমি হুঁশিয়ার ভাবে জীবন কাটা্বে।

নবম মাসের দ্বপ্ন
নবম মাসের রাত্রে স্বপ্নে দেখলেন হযরত ইমাম হােসাইন (রাঃ)-এর স্ত্রী বললেন, ওগাে উম্মুল
খায়ের ফাতেমা (রহঃ)! অল্প কিছুদিনের মাঝেই তােমার গর্ভ হতে যিনি দুনিয়াতে আগমণ করবেন,
তিনি আউলিয়া কুলের শিরোেমনি উম্মতে মুহাম্মদী (সাঃ)-এর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। হে ভাগ্যবর্তী
নারী! সে পরম শুভ সময় প্রায় এসে গেছে অতএব তুমি সাবধানভাবে চলাফেল করবে। তােমার
এ সন্তানের উসিলায় মুসলিম পুথিবীতে প্রবাহিত হবে আনন্দের বন্যা। সারা দুনিয়ায় প্রত্যেকটি
ঘরে আনন্দের স্রোত ধারা প্রবাহিত হবে। দ্বীন ও ঈমানের নতুন আলােতে এ বিশ্বজগত অন্ধকার
হতে আলাের দিকে অগ্রসর হবে।

Post a Comment

0 Comments