বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী রহঃ এর জীবনী Part 1 | boro pir abdul qadir jilani story books

 boro pir abdul qadir jilani story books

হযরত বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) এর জীবনী

পৃথিবীতে আগমণের পূর্বে হযরত আদম (আঃ)- এর সঙ্গে বড়পীর

(রহঃ)-এর রূহের পরিচয় হয় মহীউদ্দিন আবদুল কাদের নামে

সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্ তাআলা, তিনি সর্বশক্তিমান এবং সর্বদাতা। তাঁর শক্তির কখনও
পরিমাপ করা যায় না। আল্লাহ্ তআলার সবকিছু সৃষ্টির মধ্যে রহস্যের হাতছানি রয়েছে। এ
দুনিয়ার সবকিছুই তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় বহন করে আছে। হযরত আদম (আঃ)-কে আল্লাহ্
তাআলা সৃষ্টি করে আলমে আরওয়াহ্ নামক স্থানে অবস্থান করার জন্য আদেশ দিলেন। 

আদম (আঃ)-এর দিনগুলাে সুখ-স্বাচ্ছন্দের মাঝে অতিবাহিত হতে চুলিল। একদা আল্লাহ্ তাআলা হযরত
আদম (আঃ)-এর পিঠে তাঁর রহমতের হাত স্পর্শ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে হযরত আদম (আঃ) হতে
কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবী জন্মগ্রহণ করা সব জীবের রূহ সৃষ্টি হয়ে দলে দলে অনেক রকমের ভঙ্গিতে

Read More: How To Make Money In online 

 Read More: Upcoming All Mobile Price

তাঁর সামনে চলাচল করতে আরম্ভ করল। তখন হযরত আদম (আঃ) আল্লাহ্ তাআলার কাছে।

ফরিয়াদ করলেন, হে আল্লাহ্! আমার সামনে সে সব রূহ বা আত্মা চলাচল করতেছে ওরা আসলে
কারা? তাদের পরিচয়ও বা কি? আর আমার কেন জানি তাদেরকে বারেবারে দেখার পরেও দেখার
স্বাধ মিটছে না। আল্লাহ্ তাআলা হযরত আদম (আঃ)-কে বললেন-হে আদম! তুমি আজ

 তাদেরকে চিনে রাখ, যাদের দিকে তুমি চেয়ে আছ। তাদেরকে একত্রে দেখার সুযােগ আর তােমার
জীবনে হবে না। এরপর হযরত আদম (আঃ)-চেয়ে দেখলেন যে, প্রথমে নবী-রাসূলগণের রূহ
অর্থাৎ আত্মার কাফেলা, তারপর অলী আল্লাহগণের আত্মার কাফেলা এরপর দেখলেন মাে'মিন
বান্দাদের কাফেলা। সেই আত্মাগুলো একের পর এক ঘূরে বেড়াচ্ছে এবং খুব সুমধুর কণ্ঠে পরম

দয়ালু আল্লাহ্ তাআলার নাম জিকির করতেছে।

হঠাৎ হযরত আদম (আঃ) লক্ষ্য করলেন যে, ওলীগণের আত্মার দলের সামনে যে আত্মাটি
চলাফেরা করতেছে, সেই আত্মাটি খুবই সুন্দর আর মনােমুগ্বকর সহসাই অনিন্দ্য সুন্দর আত্মাটি
হযরত আদম (আঃ)-এর
জ্যোতিদর্শনে মুদ্ধ হয়ে আবার আল্লাহ্ তাআলার নিকটে ফরিয়াদ করলেন সেই আত্মার পরিচয়
জানার জন্য।
আল্লাহ্ তাআলা বললেন, হে আদম তুমি সুসংবাদ শুনে রাখ।! তােমার এই সন্তানের নাম

হল মহীউদ্দিন আবদুল কাদের। নবুয়্যতের দরজা যখন বন্ধ হয়ে যাবে, যখন পৃথিবীতে তােমার
বংশ ধরেরা বিপদগামী হতে থাকবে তখনই তার আগমণ হবে পৃথিবীতে। সে হবে সমস্ত সৃষ্টির
কাছে খুব মর্যাদাবান-মারেফাতের সর্বগুণে গুণান্বিত একমাত্র ইসলাম ধর্মের অন্যতম সংস্কারক ।

 আমার আশেক বান্দা এবং আউলিয়া দরবেশদের মাঝ সর্বশ্রেষ্ঠ। তার পিঠে থাকবে আমার প্রিয়
হাবীব খাতেমুন্নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পায়ের চিহ্ন। আমার এই বান্দা ইসলামের গৌরব ও
নীতিমালাকে সুসংঘবদ্ধ করে দুনিয়া ও আকেরাতে স্বীয় কীর্তি প্রতিষ্ঠা করবে।
আল্লাহ্ তাআলার এই বাণী শ্রবণ করে হযরত আদম (আঃ) খুবই আনন্দিত হলেন। মহান
আল্লাহ্ তাআলার উদ্দেশ্যে শােকর গুজারী করলেন এবং মাথা নত করে সিজদা করলেন।

আকর্ষণ করে নিলেন। তখন হযরত আদম (আঃ) আত্মাটি অপূর্ব
 
If you want to create Android apps, visit this site অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি
 

এই পৃথিবীতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জবানীতে খুশীর সংবাদ

একদা মদীনা শরীফে একটি গাছের ছায়ার নীচে আল্লাহ্ তাআলার প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ

(সাঃ) তাঁর প্রিয় দোহিত্দ্বয় হযরত হাসান (রাঃ) ও হযরত হুসাইন (রাঃ)-এর সঙ্গে আলাপ
করতেছিলেন। এক সময়ে হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর কণিষ্ঠ দৌহিত্র হযরত হুসাইন (রাঃ)-কে
প্রশ করলেন, প্রয় হুসাইন! আমার অবতমানে যদি কোন লােক তােমার সঙ্গে ঘাের শত্রুতা করে

বা অন্যায়ভাবে তােমাকে কষ্ট দেয় অথবা তার স্বার্থ সিদ্ধির জন্য শক্তি প্রয়ােগ করে তাহলে তুমি
তার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করার আশা পােষণ কর।
 
হযরত হুসইন (রাঃ) তাঁর নানাজীর প্রশ্নের প্রতি উত্তরে বলিলেন-হে আমার নানাজী! যদি
আমার উপর কেউ অন্যায়, অত্যাচার এবং জুলুম করতে থাকে তাহলে আমি তাকে প্রথম এবং
দ্বিতীয় বার ক্ষমা করিয়া দিব। কিন্তু যদি সে তৃতীয় বার আমার কঠোর হাত হতে রক্ষা পাইবে
না। সে যদিও বন-জঙ্গল, পাহাড়-পর্বতে অথবা দুর্গম গুহায় লুকিয়ে থাকে তারপরও তার
অপকর্মের ফল তাহাকে ভােগ করতেই হবে। 
 
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হযরত হুসাইন (রাঃ)-এর মুখে এই ধরনের উত্তর শুনিয়া- খুবই
আনন্দিত হলেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হুসাইনের পিঠে স্নেহের হাত বুলাতে লাগলেন এবং
তাহাকে উদ্দেশ্য করে বলিলেন-হে আমার নয়নের মনি! ন্যায় ও সত্যের মৃর্ত প্রতীক, তুমি হলে
হযরত আলী (রাঃ)-এর সুযােগ্য সন্তান। ভবিষ্যতে তােমার বংশে সকল রত্নের আবির্ভাব ঘটিবে।
 
আর যারা আবির্ভাব করবে তারা সবাই হবে এক একজন ইমাম। হে আমার বংশের আলাে!
তােমার মাধ্যমেই পৃথিবীর বুকে আমার বংশের ধারা টিকে থাকবে। অত্যন্ত মনােযােগ সহকারে
তুমি তাদের নাম শুনিয়া রাখ। তাদের নাম অপর পাতায় দেওয়া হইলঃ
১. হযরত জয়নুল আবেদীন (রহঃ), ২. হযরত মুহাম্মদ বাকের (রহঃ), ৩. হযরত জাফর
সাদেক (রহঃ), ৪. হযরত মূসা কাজেম (রহঃ), ৫. হযরত মূসা আলী রেজা (রহঃ), ৬. হযরত
জুনায়েদ (রহঃ), ৭. হযরত আলী আসকার (রহঃ), ৮. হযরত হাসান খালেস (রহঃ) এবং ৯.

হযরত ইমাম মাহদী (রহঃ)।
এরপর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হােসাইন (রাঃ)-এর দিক হতে নিজেকে সরিয়ে জ্যেষ্ঠ নাতি
হযরত হাসান (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে খুব শান্ত কণ্ঠে বললেন, হে আমার আদরের নাতি হাসান!
নবী নন্দীনির আঁচলের ধন! তােমাকে আমি একটি কথা জিন্জ্রেস করি, মনােযােগ সহকারে শুন,
 
যদি কোন লােক আমার ওফাতের পরে তােমার প্রতি খারাপ ব্যবহার করে অথবা তােমার ক্ষতি
করার জন্য তােমার পেছনে লাগে কিংবা তােমাকে অনেক দুঃখ-কষ্টের মাঝে পতিত করে, অথবা
অকারণে তােমাকে অত্যাচার করে তা হলে তার সাথে তুমি কি ধরনের আচরণ করবে?
একজন শান্ত প্রকৃতির লােক ছিলেন হযরত হাসান (রাঃ)।
তিনি বিচলিত না হয়ে হযরত
 
মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রশ্নের প্রতি উত্তরে খুব শান্ত স্বরে খুব বিনয়ের সাথে বলিলেন, হে আমার
নানাজী! আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব তাদের সাথে অর্থাৎ শত্রুদের সাথে সদ্ব্যবহার করে তাদের মন
জয় করার চেষ্টা করব। অসদ্বব্যবহাকারীকে স্বীয় ভাল ব্যবহারের মাধ্যমে তাদেরকে সৎ পথে
আনার চেষ্টা করব। শত্রুদেরকে আম ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখব। প্রতিহিংসা, প্রতিশােধমূলক
আচরণ হতে আমি নিজেকে হেফাজত করার জন্য যথাসাধ্য সচেষ্ট থাকিব ইনশাল্লাহ!
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর প্রাণের চেয়ে প্রিয় হযরত হাসান (রাঃ)-এর উত্তর শুনে অর্থাৎ
তার ন্যায় পরায়নতা, সত্যনিষ্ঠা ও সৎ সাহস দেখে খুবই সন্তুষ্ট হলেন।

আর তাব এই ক্ষমা সুন্দর
দৃষ্টি দেখে আল্লাহ্ তাআলা খুব খুশী হয়েছেন। আল্লাহ্ তাআলা এর বিনিময়ে তােমাকে এক
মহামূল্যবান উপহার প্রদান করবেন। এমন এক উপহার দিবেন যে উপহার বিশ্বের ওলী-আল্লাহ্র
আগমণকে অলংকিত করবে। সে অসংখ্য পাপীকে পথ দেখিয়ে দিবেন। তাঁর জ্ঞানের দ্বারা অনেক
সুফী সাধক, ভক্তবৃন্দ নারী-পুরুষ আলােকিত হবে। যাবতীয় কুসংস্কারের অবসান ঘটিবে তারই
চেষ্টা দ্বারা। 
 
তাঁর মাধ্যমে যে সত্যের বিকাশ ঘটবে তা দুনিয়া ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত দুনিয়াবাসীকে
অলাের পথ দেখিয়ে যাবে। আল্লাহ্ তাআলার সেই প্রদত্ত প্রতিদান তােমার বংশে পরবর্তীকালে
দুনিয়াতে আগমণ করবে। আর তাঁর নাম হবে আওলিয়াকুল সর্বশ্রেষ্ঠ মহাতপস হযরত আবদুল
কাদের জিলানী। এই দুনিয়ার মানুষকে তিনি মুক্তির পথ দেখাতে থাকবেন।

এরপর নবীর আগাম বাণীই সত্যে পরিণত হইল । ইসলামের মহাবিপদের সময়ে হযরত
হাসান (রাঃ)-এর বংশে আল্লাহ্ তাআলার ইচ্ছায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন হযরত বড়পীর আবদুল
কাদের জিলানী (রহঃ)। বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী মাতৃ-পিতৃ দুই দিক হতে মহানবী
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর রক্ত লাভ করেছিলেন।
 

মুসলিম জাহানের অবস্থা কেমন ছিল বড়পীর (রহঃ)-এর আগমণের সময়

বড়পীর (রহঃ)-এর আগমণকালে সমস্ত মুসলিম দুনিয়ায় এক নৈরাজ্যের বিভীষিকা ছড়িয়ে
পড়েছিল। বাগদাদ, মিশর এবং মধ্য এশিয়ার মুসলমান রাজা, বাদশাহগণের মাঝে হিংসা বিন্বেষ
জমাট বেঁধে উঠেছিল। একে অপরের সহযােগীতা ও বন্ধুত্বের উজ্জ্বল আলা প্রায় নিবু নিবু হয়ে
গিয়েছিল । মুসলিম জাহানের এমন পরিস্থিতির জন্য যারা ইন্দন যুগিয়েছিল, যাহদের দ্বারা মুসলিম
জাহানের অবিচার, অনাচার ঢুকিয়া পড়েছিল, তারা হলেন, বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফাগণ। 
 
আবু মুসলিম খােরাশানীর সহায়তায় বিপ্লবের দ্বারা বনি উমাইয়ার রাজত্ব তারা ধুলিস্যাৎ করে ছিলেন।
সম্পদের অপচয় ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিছক পার্থিব লালসার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ দুনিয়ার বুকে তারাই
ছিল উপরের স্তরে। জনসেবা, আত্মত্যাগ, মমতা, দয়া, উন্নয়নমূলক কাজের দিকে তাদের কোন
উৎসাহ ছিলনা। ইসলাম ধর্ম-প্রচার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তারা ছিল সম্পূর্ণ উদাসীন।

শাসকরা যদিও বাগদাদে নিজেদের ক্ষমতা ও প্রভাবকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন কিন্তু
প্রজা সাধারণের মন তারা জয় করতে পারছিল না। জনসাধারণ ইসলামের আইন-কানুন, রীতি-
নীতি, বিধি-নিষেধ ও সুন্দর জীবন ব্যবস্থার প্রতি অবহেলা ও উপেক্ষা করতে আরম্ভ করিয়া দিল।

তারা ইসলামের মূলনীতি, বিধি-নিষেধ এবং নির্দেশকে পরিহার করে জাতীয় চরিত্রকে কলুষিত
করিয়া তুলিল। আরাম-আয়েশ, ভােগের স্পৃহা, শােষণ-নির্যাতন, প্রতিহিংসা, অবহেলার আগুনে
জুলিয়া উঠিল। স্বেচ্ছাচারী খলিফাগণের অবহেলার কারণে ইসলামের মহান ঐক্য বিচ্ছিন্ন হয়ে
যাবার উপক্রম হয়েছিল। দেশময় অরাজকতা, কুসংস্কার, স্বার্থন্ধতা ও অনৈসলামিক আচার
অনুষ্ঠান দৃঢ় আসন করে নিয়েছিল।

সে সময় মুসলিম নামধারী পথভ্রষ্ট সম্প্রদায় মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। তার মধ্যে খারেজী,
শিয়া, মুতাজিলা, জাবরিয়া, ইমামিয়া এইগুলাে ছিল উল্লেখযোগ্য। ইসলামের শাসন ও শান্তিপূর্ণ
মূলনীতিকে ধ্বংস করা, বেদআত ও ভ্রান্ত মতবাদকে জোরদার করা, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হত্যা
করাই ছিল তাদের ভ্রান্ত নীতির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। তাদের মধ্যে অলূত্য সম্প্রদায়ের

আন্দোলনই ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ ও মারাত্মক। এই দুলের অনুসারীরা ছিল ধূর্ত, কপট, শট এ
মুনাফিক। তারা বলিয়া বেড়াইত যে, ইসলামকে পুনর্জীবিত করা, ইসলামের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত
করা, বাস্তব জীবনে সম্পূর্ণরূপে ইসলামকে রূপায়িত করাই তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য।
আসলে
তারা ছিল ভ্রান্ত মতবাদের লােক। তাদের অন্তরে শুধুমাত্র একটাই চিন্তা ছিল যে, কিভাবে
ইসলামকে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া যায়। কিভাবে ঈমান, নামায, রাোযা, হজ্ব, যাকাতের
নিয়ম-নীতি বিলীন করে দেয়া যায়। যারা তাদের চিন্তা দ্বারাকে পছন্দ কারত না তাদেরকে হত্যা
করে ফেলত। ইসলামকে চিরতরে ধ্বংস করাই ছিল তাদের একমাত্র মূর উদ্দেশ্য।

ইয়পবিত্র ইসলামের এই মহা বিপদের সময়ে আল্লাহ্ তাআলা শ্রেষ্ঠ রহানী শক্তির অধিকারী,
ন্যায় ও সত্যের প্রতীক, মহাপুরুষ বড়পীর, দস্তগীর গাউছে হামদানী, মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে
রাব্বানী সৈয়দ শেখ আবু মুহাম্মদ মহীউদ্দিন আবদুল কাদের মৃত প্রায় ইসলামের মধ্যে এক নতুন
প্রাণের সঞ্চার হল। পাপাচার পূর্ণ দুনিয়া আলােকিত হয়ে উঠিল এবং মানুষ সত্য পথের সন্ধান

বড়পীর (রহঃ)-এর বংশ পরিচয়

বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং হযরত আলী
(রাঃ)-এর রক্তধারার মাধ্যমে দুনিয়াতে আগমণ করেন। তিনি মাতৃ-পিতৃ উভয় দিক থেকে হযরত
মুহাম্মদ (সাঃ)-এর রক্তধারায় মিশ্রিত আছেন। তাঁর পূন্যবান পিতার বংশসূত্র উপরের দিকে
আওলাদে রাসূল (সাঃ)-এর বংশ ইমাম হাসান (রাঃ)-এর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। অপর দিকে
মনেহময় জননীর বংশক্রম উপরের দিকে সৈয়দ বংশের অমূল্য রত্ন ইমাম হােসাইন (রাঃ)-এর সঙ্গে
মিলিত হয়েছে। এই ব্যাপারে বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) সবচেয়ে ধন্য ব্যক্তি
হিসেবে পরিচিত।

পিতার বংশের পরিচয়
১. হযরত আলী (রাঃ)-এর পুত্র, ২, হযরত সাইয়্যেদ হাসান (রাঃ)-এর পুত্র, ৩, হযরত
সাইয়্যেদ হাসান মােসান্নাহ (রহঃ)-এর পুত্র, ৪, হযরত সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ আল-মইজ (রহঃ)-
এর পুত্র, ৫. হযরত সাইয়্যেদ মুসা আল জোহন (রহঃ)-এর পুত্র, ৬. হযরত সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ
সাইয়্যেদ (রহঃ)-এর পুত্র, ৭, হযরত মূসা সানী (রহঃ)-এর পুত্র, ৮. হযরত দাউদ (রহঃ)-এর
পুত্র, ৯. হযরত মুহাম্মদ (রহঃ)-এর পুত্র, ১০, হযরত ইয়াহইয়া (রহঃ)-এর পুত্র, ১১. হযরত আবু
আবদুল্লাহ (রহঃ)-এর পুত্র, ১২. হযরত আবু সালেহ মূসা (রহঃ)-এর পুত্র, ১৩, গাউসুল আযম
পীরানে পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)।
বড়পীর হথরত আবদুল কাদের জিলানী হলেন শেরে খােদা হযরত আলী (রাঃ)-এর বংশের
অধঃস্তন দ্বাদশতম পুরুষ।

মাতার বংশের পরিচয়
বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ)-এর মাতার বংশ হযরত আলী (রাঃ) এবং
হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর বংশের সাথে মিশেছে। মাতৃকুলের পরিচয় হলঃ
১। হযরত আলী (রাঃ)-এর পুত্র, ২। হযরত ইমাম হােসাইন (রাঃ)-এর পুত্র, ৩। হযরত
ইমাম জয়নাল আবেদীন (রহঃ)-এর পুত্র, 8 । হযরত ইমাম বাকের (রহঃ)-এর পুত্র,
 
 ৫। হযরত ইমাম জাফর সাদেক (রঃ)-এর পুত্র, ৬। হযরত মুসা কাজেম (রঃ)-এর পুত্র, १। হযরত আলী
রেজা (রঃ)-এর পুত্র, ৮। হযরত আলী জাওয়াদ (রঃ)-এর পুত্র, ৯। হযরত আবু আলাউদ্দিন
(রঃ)-এর পুত্র, ১০। হযরত আবু আতি, আবদুল্লাহ (রঃ)-এর পুত্র, ১১। হযরত মুহাম্মদ (রহঃ)-
এর পুত্র, ১২। হযরত আবু জামাল (রঃ) এর পুত্র, ১৩। হযরত আবদুল্লাহ সাইমেয়ী (রঃ)-এর
পুত্র, ১৪। হযরত উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রাঃ)-এর পুত্র এবং ১৫। বড়পীর হযরত আবদুল কাদের
জিলানী (রহঃ)।

হযরত বড়পীর (রহঃ)-এর মাতার বংশের দিক থেকে হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)
হযরত আলী (রাঃ)-এর পনেরতম অধঃস্তন পুরুষ। আর তার পিতার নাম হখরত আবু সালেহ
মুসা (রাঃ) এবং মাতার নাম উম্মুল খায়ের হযরত ফাতেমা (রঃ)। মাতা-পিতা দু'জনেই হযরত
আলী (রাঃ) এবং হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর বংশধর। অপর দিক হতে হযরত ফাতেমা (রা:)
হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ)-এর কন্যা। হযরত আলী (রাঃ)-
এর. দাদা ছিলেন আবদুল মুতালিব এবং হযরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দাদাও ছিলেন
আবদুল মুতালিব।
বাংলায় লিখতে গিয়ে যদি আমাদের কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সাথে সাথে আমাদেরকে জানাবেন আমাদের ই-মেইল এর মাধ্যমে,

অথবা নিচে কমেন্ট বক্সে গিয়ে কমেন্ট করে জানাতে পারেন

আপনাদের ইমেইল পাওয়ার সাথে সাথে আমরা আমাদের ভুল শুধরে নেব

এবং আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

(ধন্যবাদ ভালো থাকুন)

Post a Comment

1 Comments

Please Don't Send Any Spam Link