১৮ পারা কোরআন মুখস্ত মাতৃগর্ভে থেকে
করেছিলেন। গর্ভ অবস্থায় এ আঠার পার' কোরআন তিনি অধিকাংশ সময় পাঠ করতেন। মায়ের
গর্ভে থেকে বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানা (রহঃ)-এর জাগ্রত আত্মা তা শুনতেন। ফলে
মায়ের সঙ্গে গর্ভে থেকেই তিনি অঠার পার পর্যন্ত কোরআন মুখস্থ করেছিলেন। বড়পীর হযরত
আবদুল কাদের জিলানী সবেমাত্র কথা বলতে শিখেছেন। মতা ফাতেমা (রহঃ) ভাবলেন পুত্রকে
এখন গৃহ শিক্ষকের কাছে পাঠানাে দরকার। তাই তিনি একদিন বিসৃমিল্লাহ্ বলে তাঁকে গৃহ
শিক্ষকের কাছে প্রেরণ করলেন। গৃহ শিক্ষক একজন বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। বড়পীর হযরত আবদুল
কাদের জিলানী (রহঃ)-কে তিনি স্নেহের সাথে নিজের কাছে ডে্কে বসালেন এবং প্রাথমিক সবক
প্রদান করে তাঁকে আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পাঠ করতে বললেন। হযরত বড়পীর আবদুল কাদের
জিলানী (রহঃ) আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ পাঠ করে একাদিক্রমে কোরআনের আঠার পারা পর্যন্ত
মুখস্থ পড়লেন। তারপর তিনি থেমে গেলেন। গৃহ শিক্ষক বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী
(রহঃ)-এর এই অলৌকিক কাজ দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- প্রিয় বৎস! তুমি থামলে কেন?
বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) বললেন, ওস্তাদজী! এ পর্যন্তই আমি আমার
মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় মুখস্থ করেছি। শিক্ষক পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, ইহা কেমন করে সম্ভব
হল। বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) বললেন, ওস্তাদজী! আমার মাতা আঠার পারা
কোরআনের হাফেজা। আমি গর্ভে থাকা অবস্থায় অধিকাংশ সময় তিনি উহা পাঠ করতেন আমি
উহা অত্যন্ত মনােযােগের সাথে শ্রবণ করতাম। এভাবে মায়ের সঙ্গেই আমার আঠার পারা
কোরআন মুখস্থ হয়ে গেছে। গৃহশিক্ষক উহা শুনে অতিশয় আনন্দিত হলেন এবং তার জন্য দোয়া
করলেন।
1 Comments
somonmd341@gmail.com
ReplyDeletePlease Don't Send Any Spam Link