বড়পীর (রহঃ)-এর জন্মের প্রথম দিনের ঘটনা
পূণ্যবর্তী মায়ের কোল আলোকিত করে শিশু আবদুল কাদের খেলিতেছেন। তখন নবজাতশিশুটির মধ্যে এক আশ্চর্যজনক অটনা দেখা দিল। তাঁর রক্তের মত লাল ঠোটম্বয় বার বার
প্রকম্পিত হতে লাগল । তিনি যেন অস্ফুটস্বরে কি বলতে চান। অনেকেই মনে করেন যে, বড়পীর
হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) ভূমিষ্ট হওয়ার পর গােনাহগার উম্মতে মুহাম্মদী (সাঃ)-এর
মুক্তির জন্যই মহান আল্লাহ্ তা'আলার কাছে দোয়া করছিলেন। এজন্যেই তাঁর ঠোট দু'টি মুদু
কেঁপেছিল।
উম্মে খায়ের ফাতেমা (রহঃ) অপরূপ সৌন্দর্যে মণ্ডিত প্রাণ গ্রিয় পুত্র জন্মদান করে খুশি ও
আনন্দে মাতােয়ারা হয়ে উঠলেন। তার কোলে যেন মুক্ত আকাশের চন্দ্র বিশ্ব বরেণ্য সাধকরপে
খেলা করতে লাগল। তিনি ধুলি বিমলিন দুনিয়াতে বসেও যেন বেহেশতের অমিয়শান্তিধারা লাভ
করলেন। যেন নিতান্ত অসহায় দরিদ্রজন রাশি রাশি গুপ্তধন লাভে কৃতার্থ হলেন। অতীতের সমস্ত
জবালা যন্ত্রণা ভুলে গিয়ে আনন্দে অধীর হয়ে গেলেন।
মুহূর্তের মধ্যে প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ল যে, সাইয়্যেদ হযরত আবু
শিশুকে সবাই দেখে বিস্ময়ে অবাক হয়ে গেল। তারা দেখল যেন স্ব্গীয় এক দূত ফাতেমা (রহঃ)-
এর কোল জুড়ে বসে আছে। তার মুখাবয়ব থেকে যেন মনে হয় শতচন্দ্রের আলাে বিকিরণ করছে।
তাঁর পিঠের মধ্যে আছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পায়ের চিহ্ন। আর শূন্য বায়ুমণ্ডল
থেকে যেন ভেসে আসছে হাজার কণ্ঠের বিশ্ব স্রষ্টার গুণকীর্তন। স্বর্গীয় দৃতগণ যেন দরূদ পাঠ
উপস্থিত জনগণের প্রশংসা গুনে খুবই আশ্চর্যবােধ করছিলেন সাইয়্যেদ হযরত আবু সালেহ
মুসা (রহঃ)। অদৃশ্য হতে কেবা কারা কাথায় থেকে যেন মধুর স্বরে দরূদ শরীফ পাঠ করছে কিন্তু
তারা তা উপলব্ধি করতে পারছেনা। অজানা আশংকায় তাদের মন কাপছিল। এমন সময় অদৃশ্য
বাণী শােনা গেল-হে আবু সালেহ মুসা! তুমি দুশ্চিন্তা করােনা। তুমি খুবই ভাগ্যবান। তােমার
ত্যাগ, তােমার সাধনা আজ ধন্য। তােমার ঘরে আগমন করেছেন আল্লাহ্ তা আলার পরম বন্ধু ও
হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রিয়।
আল্লাহ্ তা'আলার প্রিয় বন্ধু। আর এ কথাও শুনে রাখ। দুনিয়ার বুকে তার নাম হবে আবদুল
কাদের। তিনি মহাপ্রভুর, যােগ্যতম বান্দা।
ঐতিহাসিকদের মতে এ অদৃশ্য বাণী শেষ নবী ও সমস্ত রাসূলগণের নেতা হযরতে মুহাম্মদ
মুস্তফা (সাঃ) স্বীয় সহ চরগণসহ নিজ বংশের উজ্জ্বল রত্ন হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-
কে স্বাগত জানানাের জন্যই করেছিলেন। সাইয়্যেদ আবু খালেদ মুসা (রহঃ)-এ দৃশ্য বাণী শুনে
আনন্দিত হলেন এবং আল্লাহ্ তা'আলার শােকর আদায়ের জন্য দু'রাকাতি নফল নামায আদায়
এ বালকের নাম রাখবে মাহবুবে সােবহানী। অর্থাৎ
করলেন।
আনন্দে মাতােয়ারা হয়ে উঠলেন। তার কোলে যেন মুক্ত আকাশের চন্দ্র বিশ্ব বরেণ্য সাধকরপে
খেলা করতে লাগল। তিনি ধুলি বিমলিন দুনিয়াতে বসেও যেন বেহেশতের অমিয়শান্তিধারা লাভ
করলেন। যেন নিতান্ত অসহায় দরিদ্রজন রাশি রাশি গুপ্তধন লাভে কৃতার্থ হলেন। অতীতের সমস্ত
জবালা যন্ত্রণা ভুলে গিয়ে আনন্দে অধীর হয়ে গেলেন।
মুহূর্তের মধ্যে প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ল যে, সাইয়্যেদ হযরত আবু
বালেই মুসা (রহঃ)-এর একজন পুত্র সন্তান হয়েছে। সবাই নবজাত শিশুটিকে দেখিতে আসিল।
শিশুকে সবাই দেখে বিস্ময়ে অবাক হয়ে গেল। তারা দেখল যেন স্ব্গীয় এক দূত ফাতেমা (রহঃ)-
এর কোল জুড়ে বসে আছে। তার মুখাবয়ব থেকে যেন মনে হয় শতচন্দ্রের আলাে বিকিরণ করছে।
তাঁর পিঠের মধ্যে আছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পায়ের চিহ্ন। আর শূন্য বায়ুমণ্ডল
থেকে যেন ভেসে আসছে হাজার কণ্ঠের বিশ্ব স্রষ্টার গুণকীর্তন। স্বর্গীয় দৃতগণ যেন দরূদ পাঠ
উপস্থিত জনগণের প্রশংসা গুনে খুবই আশ্চর্যবােধ করছিলেন সাইয়্যেদ হযরত আবু সালেহ
মুসা (রহঃ)। অদৃশ্য হতে কেবা কারা কাথায় থেকে যেন মধুর স্বরে দরূদ শরীফ পাঠ করছে কিন্তু
তারা তা উপলব্ধি করতে পারছেনা। অজানা আশংকায় তাদের মন কাপছিল। এমন সময় অদৃশ্য
বাণী শােনা গেল-হে আবু সালেহ মুসা! তুমি দুশ্চিন্তা করােনা। তুমি খুবই ভাগ্যবান। তােমার
ত্যাগ, তােমার সাধনা আজ ধন্য। তােমার ঘরে আগমন করেছেন আল্লাহ্ তা আলার পরম বন্ধু ও
হযরত রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর প্রিয়।
আল্লাহ্ তা'আলার প্রিয় বন্ধু। আর এ কথাও শুনে রাখ। দুনিয়ার বুকে তার নাম হবে আবদুল
কাদের। তিনি মহাপ্রভুর, যােগ্যতম বান্দা।
ঐতিহাসিকদের মতে এ অদৃশ্য বাণী শেষ নবী ও সমস্ত রাসূলগণের নেতা হযরতে মুহাম্মদ
মুস্তফা (সাঃ) স্বীয় সহ চরগণসহ নিজ বংশের উজ্জ্বল রত্ন হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ)-
কে স্বাগত জানানাের জন্যই করেছিলেন। সাইয়্যেদ আবু খালেদ মুসা (রহঃ)-এ দৃশ্য বাণী শুনে
আনন্দিত হলেন এবং আল্লাহ্ তা'আলার শােকর আদায়ের জন্য দু'রাকাতি নফল নামায আদায়
এ বালকের নাম রাখবে মাহবুবে সােবহানী। অর্থাৎ
করলেন।
0 Comments
Please Don't Send Any Spam Link